দ্বীনী প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আলেম ও জেনারেল শিক্ষিতদের মাঝে বিরোধ প্রসঙ্গ

Madrasas.jpg https://quranteachinghome.com/

সাধারণ মানুষ দ্বীনী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নিয়ম-নীতি ও মাসায়েল সম্বন্ধে অবগত থাকেন না। তারা তাদের মর্জি মোতাবেক এমনসব নীতিতে প্রতিষ্ঠান চালাতে চান যা দ্বীনী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নিয়ম-নীতি ও মাসায়েল সম্বন্ধে অবগত উলামায়ে কেরাম মেনে নিতে পারেন না। যেমন একটা উদাহরণ: স্টাফের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মাসআলা হল- স্টাফের প্রয়োজন পূর্ণ হয় এতটুকু বেতন-ভাতা অবশ্যই তাদেরকে দিতে হবে, নতুবা পরিচালকদের পাপ হবে, তারা দায়ী থাকবে। কিন্তু দেখা যায় জেনারেল শিক্ষিত পরিচালকদের অনেকেই এ মাসআলার তোয়াক্কা না করে সাধ্য থাকা সত্ত্বেও স্টাফের বেতন-ভাতায় অবিচার করেই যেতে থাকে। কোনোমতেই তারা স্টাফের ন্যায্য বেতন-ভাতা প্রদানে ব্রতী হয় না।

বিদায় হজ্জের ভাষণ

বিদায় হজ্জের ভাষণ ১০ম হিজরিতে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনকালে আরাফাতের ময়দানে ইসলাম ধর্মের শেষ রাসুল মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রদত্ত খুৎবা বা ভাষণ। হজ্জের দ্বিতীয় দিনে আরাফাতের মাঠে অবস্থানকালে অনুচ্চ জাবাল-এ-রাহমাত টিলার শীর্ষে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সমবেত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ জীবিতকালে এটা শেষ ভাষণ ছিলো, তাই সচরাচর এটিকে বিদায় খুৎবা বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিলো।

শিক্ষকের সম্মান ও মর্যাদা

শিক্ষকরা জাতিকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে নিজেরা মোমের মতো নিঃশেষিত হন। একজন শিক্ষক নিজে শিক্ষা অর্জন করার পর পরই অপরকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত ও চরিত্র গঠনে ভূমিকা পালন করে থাকেন।